আর মাত্র দুই দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে এবারের ঈদযাত্রায় অনেকেই বাসের ছাদ, খোলা ট্রাক বা পিকআপ ভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও তেমন যানজট নেই। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস ও আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা গেছে, ঘরমুখো যাত্রীদের প্রচুর ভিড়। যাত্রীবাহী বাস ছাড়াও ট্রাক, পিকআপ, লোকাল বাস ও লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মহাসড়কে প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেলের উপস্থিতি বাসের তুলনায় বেশি। গণপরিবহনের সংকটের কারণে অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে করে যাত্রা করছেন।
এক যাত্রী জানান, আগে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার ভাড়া ৬০-৭০ টাকা ছিল, এখন ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। ভিড় এত বেশি যে দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাওয়া কঠিন।
টাঙ্গাইলের আশেকপুর বাইপাসে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, গাড়ি থামছে না বা থামলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। পূর্বে ২০০ টাকা ভাড়া ছিল, এখন ৩০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে।
পরিবারের সঙ্গে গ্রামে ফিরতে যাওয়া এক যাত্রী জানান, আগে ৫০০ টাকায় যাত্রা করতেন, এখন ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
বাসে দ্বিগুণ ভাড়া চাওয়ার কারণে অনেকেই ট্রাক বা পিকআপে করে যাত্রা করছেন। এক যাত্রী বলেন, ট্রাকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে পারাটা তার জন্য বড় বিষয়।
আরেক ব্যক্তি বাসের অতিরিক্ত ভাড়া এড়াতে এবং আরামদায়ক যাত্রার জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। জেলা পুলিশের প্রায় ৬০০ সদস্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন।