যশোরের ঝিকরগাছায় ১০ বছর বয়সী মাদরাসাছাত্রী সোহানা আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা অবশেষে উদঘাটন করেছে পুলিশ। নির্মম এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভুক্তভোগীর ফুফাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়নকে (১৯)।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নয়ন জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নিহত সোহানা আক্তার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। গত ৭ জুন ঈদের দিন তিনি ফুফুবাড়ি বেড়াতে যান পার্শ্ববর্তী হাড়িয়া গ্রামে। পরদিন ৮ জুন, মানিকালি গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সোহানা দোলনায় খেলা করছিলো, এ সময় নয়ন তাকে একা পেয়ে নিজের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষণের পর গলা ও মুখ চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দেয় নয়ন। এরপর নিজ বোন তন্নীকে নিয়ে ঘটনাটি গোপন করতে ‘নিখোঁজ’ নাটক সাজায়।
পুলিশ সোহানার বাবা আব্দুল জলিলের করা মামলার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নয়ন নিজের অপরাধ স্বীকার করে।
যশোর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশ সুপার রওনক জাহান জানান, “গ্রেপ্তারকৃত নয়ন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”