২০২৪ সালে বাংলাদেশে মোট ৬,৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭,২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। যদিও চট্টগ্রামের রিং রোডে বিস্তারিত পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাত্র এক বছরে এ রাস্তায় প্রায় ১০০টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষভাবে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা প্রকট। পাশাপাশি কভার্ডভ্যান ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষও নিয়মিত ঘটে।
দুর্ঘটনার পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে বেপরোয়া গতি, ট্রাফিক সংকেতের অভাব এবং বর্ষাকালে পাহাড়ি মাটি ধসে সড়কে জমে থাকা কাদা-গাদার উপস্থিতি।
রিং রোড কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে ছড়িয়ে আছে, যা পথচারীদের কর্ণফুলীর শান্ত জল ও চলমান জাহাজের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপহার দেয়। পথের পাশেই অবস্থিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার জন্য অতি জনপ্রিয় স্থান।
সড়কের দু’ধারে সবুজ গাছপালা, প্রান্তর ও খোলা আকাশ ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর ও আশপাশের শিল্পাঞ্চল রিং রোডকে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক প্রাণরেখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এছাড়া, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধটি রোডের পাশে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনাসমূহের মধ্যে অন্যতম। এটি স্থানীয় ও ভ্রমণকারীদের জন্য গর্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
নদীর ধারে নির্মিত ডিসি পার্কও স্থানীয়দের সাথে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে প্রতিদিন নানা বয়সী মানুষ বিশ্রাম ও বিনোদনের জন্য সমবেত হন।
বন্দর থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রিং রোড শুধু চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নয়, এটি প্রকৃতির সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক স্মৃতির একটি মনোমুগ্ধকর পথ। তবে, দুর্ঘটনা কমাতে যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ওমর ফারুক