পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর প্রাক্কালে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে, যা বুধবার সকাল থেকে ধীরে ধীরে কমে এলেও কিছু এলাকায় ধীরগতিতে যান চলাচল অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার সকালে চট্টগ্রামমুখী লেনে মুন্সিগঞ্জের ভবেরচর অংশে যানজট শুরু হয়ে তা কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার ফলে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে, ভোর থেকে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বৃষ্টির কারণে রাস্তা ভেজা থাকায় গাড়ি ধীরগতিতে চলতে বাধ্য হয়েছে।
একজন যাত্রী, রাজেশ বড়ুয়া জানান, ভোর ৫টায় ঢাকার যাত্রীবাহী বাসে চড়ে রওনা দিয়েও যানজটের কারণে সোনারগাঁ মেঘনা সেতু এলাকায় এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে চার ঘণ্টা লেগেছে। আবার, দুলাল মাহমুদ নামে আরেকজন জানান, মেঘনা সেতুর যানজটে আটকা পড়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে।
এদিকে, টোলপ্লাজাগুলোতেও যানবাহনের চাপ বেড়ে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে কুমিল্লার হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় মহাসড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
কুমিল্লা রিজিয়নের হাইওয়ে পুলিশ সুপার খাইরুল আলম জানিয়েছেন, বর্তমানে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজট নেই এবং যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।