চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সীতাকুণ্ড থানার ক্রাইম জোন খ্যাত বহু আলোচিত জঙ্গল সলিমপুর সন্ত্রাসীদের আস্তানা হিসেবে বেশ সু-পরিচিত । প্রতিনিয়ত এই এলাকায় ঘটে খুন, রাহাজানি ,সন্ত্রাসী দখলবাজি , মাদক, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানান অপরাধ । বর্তমানে এই জঙ্গল সলিমপুরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টোকাই ওসমান শক্তি প্রদর্শন করছেন।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর আওয়ামী সন্ত্রাসী টোকাই ওসমান ভোল্ট পাল্টিয়ে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। টোকাই ওসমানের অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে একেবারেই অতিষ্ঠ এলাকাবাসী । টোকাই ওসমানের আছে বড় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাদের জিম্মায় গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হচ্ছে চাঁদা।
গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আরমান, মাসুদসহ বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে এই টোকাই ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার ছেড়েছেন অনেকেই।
টোকাই ওসমানের নির্যাতনে অতিষ্ঠ অত্র এলাকার জনজীবন। আধুনিক অস্ত্র হাতে উঁচিয়ে কথায় কথায় সাধারণ মানুষকে গুলি করেন এই টোকাই ওসমান। বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস সরকারের ছায়ায় পুরো ছিন্নমূল এলাকাকে ভয়ের রাজস্ত কায়েম করেছিলেন টোকাই ওসমান। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর ভোল্ট পাল্টিয়ে নিজেকে পরিচয় দিতে থাকেন বিএনপির সক্রিয় নেতা হিসেবে। এরিসাথে আরো বেশি ভয়ংকর রূপে নিজেকে প্রকাশ করতে থাকেন টোকাই ওসমান। টোকাই ওসমানের নামে খুন, মাদক, ছিনতাই, ধর্ষণ সহ ৩০টির অধিক মামলা থাকলেও এখনো হাসতে হাসতে মানুষ খুন করেছে টোকাই ওসমান। আবার খুন করে রক্ত পান করে পিপাসা মিটায় এই টোকাই ওসমান। ছিন্নমূল এলাকায় গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে ঘুমাতে দিতে হয় চাঁদা টোকাই ওসমানকে চাঁদা।
টোকাই ওসমানের অত্যাচারে নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান,
গত ৪ এপ্রিল টোকাই ওসমান ছয় মাস পূর্বে তার ক্রয়কৃত জাগার জন্য তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন টোকাই ওসমান ও তার বাহিনী। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত ৪ এপ্রিল আমাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় টোকাই ওসমান ও তার সন্ত্রাসীরা। এরিসাথে আমার ক্রয়কৃত জমি অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়ে জবর দখল নেয়।
তিনি আরো জানান আমি নিঃস্ব , নিরিহ সহ সাধারণ একজন নাগরিক হওযায় টোকাই ওহমান আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি কোন রকম মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমাদের সামনে তার জায়গা থেকে বের করে দিয়ে থাকে বেদম মারধর করে ও অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে প্রাণনাশ করতে চায়েছিল টোকাই ওসমান। এরিসাথে সে-সময় তারা তার ঘর বাড়ি ভেঙ্গে তাদের দখলে নেন।
এবিষয়ে ওসমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরিসাথে তার বিরুদ্ধে প্রথম পর্ব সংবাদ প্রকাশের পর তিনি মুঠোফোনে হত্যার হুমকি প্রদান করে এই প্রতি প্রতিবেদককে।