জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেশ করবে প্রসিকিউশন। এই অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে।
শনিবার (৩১ মে) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা প্রতিবেদনটি দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ রয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দেয়। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো ও হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাঝে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসন শেষ হয়। এর পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।