শিগগিরই প্রেক্ষাগৃহে আসছে কাজল অভিনীত নতুন সিনেমা *‘মা’*। বিশাল ফুরিয়ার পরিচালনায় এ ছবিতে কাজলকে দেখা যাবে নিজের মেয়েকে রক্ষায় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে। গত বৃহস্পতিবার ছবিটির ট্রেলার প্রকাশ পায়, যা প্রযোজনা করেছেন অজয় দেবগন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কাজল ও অজয় দেবগন একসঙ্গে কিছু অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন। আলোচনায় উঠে আসে দীপিকা পাড়ুকোনের কথাও।
ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর মাধবনও, যিনি অজয়ের জনপ্রিয় ছবি *‘শয়তান’-এর* মূল ভিলেন হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। কাজল জানান, এটি তার প্রথম মাইথোলজিক্যাল হরর ঘরানার সিনেমা।
তিনি বলেন, “এই ধাঁচের কোনো সিনেমার প্রস্তাব আগে পাইনি। এবার ওর (অজয়ের) প্রযোজনা থেকে এমন সুযোগ এসেছে। বেশিরভাগ হরর সিনেমার গল্প আমাকে টানত না। কিন্তু এখনকার গল্পগুলো অনেক উন্নত এবং আমাদের উদ্দেশ্য ভালো মানের কাজ উপহার দেওয়া।”
চরিত্রে ঢোকার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে কাজল বলেন, “আমি চরিত্রে প্রবেশের আলাদা কোনো প্রস্তুতিতে বিশ্বাস করি না। সেটে গিয়েই চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে পছন্দ করি। আমার মতে, পুরো টিম একসঙ্গে কাজ করলে ভালো কিছু তৈরি হয়।”
‘মা’ ছবিতে মেয়ের চরিত্রে কাজল–অজয়ের মেয়ে নিয়াসাকে নেওয়ার কোনো ভাবনা ছিল কি না—এই প্রশ্নে অজয় জানান, “না, এখন সিনেমায় কাজ করার কোনো ইচ্ছা নিয়াসার নেই।”
বলিউড ও হলিউডের হরর সিনেমার পার্থক্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অজয় বলেন, “আমাদের নিজস্ব পৌরাণিক ঐতিহ্য রয়েছে। এই ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা বানানো প্রয়োজন। যেখানে হলিউডকে গল্প তৈরি করতে হয়, আমাদের আছে মূল কাহিনি, শুধু তা আবিষ্কার করাটাই জরুরি।”
‘শয়তান’ ও ‘মা’ ছবির তুলনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দুটি ছবির ধরণ একেবারে ভিন্ন। তাই তুলনা টানা ঠিক হবে না। তবে আশা করি, ‘মা’ ছবিটিও দর্শকদের ভালো লাগবে।”
হরর ঘরানার সিনেমা নিয়ে অজয় বলেন, “একসময় এ ধরনের ছবি মূলধারার অংশ হিসেবে বিবেচিত হতো না। বড় তারকাদের নিয়ে হরর সিনেমা খুব কম দেখা যেত। তবে এখন ধারা বদলেছে, এবং এটা ইতিবাচক পরিবর্তন।”
এদিকে, *সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত 'স্পিরিট'* ছবি ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা গেছে, এই ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনকে নেওয়ার কথা থাকলেও, তিনি আট ঘণ্টার শিফট চাওয়ায় পরিচালক তাকে 'অপেশাদার' আখ্যা দিয়ে বাদ দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে অজয় ও কাজল নাম উল্লেখ না করে নিজেদের মতামত দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে কাজল হেসে বলেন, “কম সময় কাজ করতে হলে তো ভালোই লাগে!” তবে অজয় গুরুত্বের সঙ্গে বলেন, “বিষয়টা আসলে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সদ্য মা হওয়ার পর অনেকেই সীমিত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করেন। বেশিরভাগ নির্মাতা এটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন।