বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ বিশ্ব মুসলিমসহ সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অনন্য, গৌরবোজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে আছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া দমননীতিক আওয়ামী নেতৃত্বের নিপীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়।’
তিনি বলেন, ‘হজরত হোসেন (রা.)-এর শাহাদাত অন্যায়, নিপীড়ন ও জুলুমের বিরুদ্ধে এক অতুলনীয় আদর্শিক লড়াইয়ের প্রতীক।’
শনিবার (৫ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তারেক রহমান বলেন, ‘১০ মহররম মুসলমানদের জন্য এক ঐতিহাসিক, তাৎপর্যময় ও গভীরভাবে স্মরণীয় দিন। ইতিহাসে এই দিনে বহু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ দিনটি বেদনাবিধুর ও শোকাবহ হলেও তা মহান আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল।’
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যাচার ও অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে গিয়ে রাসুল (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন। এই দিনটি শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মোৎসর্গের প্রতীক। তাঁর এই আত্মবলিদান যুগে যুগে অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রেরণা হয়ে আছে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ ও বেদনার ইতিহাস বিশ্বমানবতার জন্য অনন্য শিক্ষার উৎস। তাকওয়া, ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার সংগ্রাম আজও আমাদের জন্য পাথেয়।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যারা ন্যায্যতা ও মানবতাকে পদদলিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ইমাম হোসেন (রা.)-এর বাহিনী আত্মত্যাগ করেছিল। কারবালার সেই শোকাবহ ঘটনা যুগে যুগে নিপীড়িত ও নির্যাতিতদের স্বাধীনতা ও ন্যায়ের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে।’
আওয়ামী সরকারের শাসনের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, রাজনৈতিক দমননীতি, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে তারা দেশে নিপীড়ন ও শোষণের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি রাখা হয়েছে, তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন এজিদের বাহিনীর ন্যায়ের ছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর সাথীদের আত্মত্যাগের আদর্শ আমাদের ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে চিরকাল উৎসাহ জোগাবে। যেকোনো প্রকারের স্বৈরাচারী শাসন প্রতিহত করতে আমাদের লড়াই চলবে।’
শেষে তিনি বলেন, ‘আমি শহীদ ইমাম হোসেন (রা.), তাঁর পরিবার ও সহযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’