বাজারে এখন একটি তুলনামূলক বড় আকৃতির বাদাম পাওয়া যাচ্ছে, যা ‘থাই চিনাবাদাম’ নামে পরিচিত। এটি কাঠবাদাম বা কাজুবাদামের তুলনায় দামে কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—এই বাদাম কি পুষ্টিগুণ এবং গুণগত মানে অন্যান্য বাদামের বিকল্প হতে পারে? বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছিল ইউনাইটেড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান চৌধুরী তাসনিম হাসিনের কাছে।
থাই চিনাবাদামের পুষ্টিগুণ
থাই চিনাবাদাম উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশ। এছাড়া, পেশি এবং হাড়ের সুস্থতায় প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়ামও এতে পাওয়া যায়। শক্তি উৎপাদনে সহায়ক ভিটামিন বি-৩ বা নায়াসিনও এতে বিদ্যমান।
পুষ্টিগুণে দেশি চিনাবাদামের সঙ্গে থাই চিনাবাদামের বড় কোনো পার্থক্য নেই। তবে বাদামের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে তার সতেজতা এবং সংরক্ষণের পদ্ধতির ওপর। বাদামে উচ্চমাত্রার ঘন চর্বি থাকে বলে তা অনুপযুক্ত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তাসনিম হাসিন বলেন, থাই চিনাবাদাম বিদেশ থেকে আনা হয় বলে কখন আনা হয়েছে, কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে, এবং ভাজার সময় তেল ব্যবহার করা হয়েছে কি না—এসব বিষয় বাদামের মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। এসব অনিয়ম থাকলে এই বাদাম খেয়ে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। তবে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হলে এটি দেশি চিনাবাদামের বিকল্প হতে পারে, কিন্তু কাঠবাদাম, কাজুবাদাম বা পেস্তার নয়। কারণ, প্রতিটি বাদামেরই নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ভিন্ন ভিন্ন বাদামের সংমিশ্রণ রাখা উত্তম—যেমন: চিনাবাদাম, কাঠবাদাম এবং কাজুবাদাম। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ একত্রে পাওয়া সম্ভব। তবে কী পরিমাণ বাদাম খাবেন, তা নির্ভর করবে ব্যক্তির প্রয়োজন অনুযায়ী। বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর হলেও অতিরিক্ত খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে, কারণ এতে ক্যালোরি অনেক বেশি।