জামায়াতে ইসলামী’র আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা থেমে নেই এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল চালাচ্ছে। শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলাকে এ ষড়যন্ত্রের জ্বলন্ত প্রমাণ উল্লেখ করে তিনি দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই দুই দিন জাতির ইতিহাসে আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের প্রতীক। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি সমবেদনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশ, শান্তি-স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা রয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হাদীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। তাই তিনি দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আলোচনা সভা, র্যালি ও দোয়ার আয়োজনের কথাও জানান। তিনি দেশের সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে জাতিকে শুভেচ্ছা জানান।
জামায়াতের তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি:
-
১৪ ডিসেম্বর: রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা।
-
১৫ ডিসেম্বর: ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা।
-
১৬ ডিসেম্বর: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে সকাল ৭টায় যুব ম্যারাথন।
সারাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আলোচনা সভা, র্যালি ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
