ঢাকা–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি এবং চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এসব ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে দায় চাপানোর জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। হাদি ও এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী অভিযোগ করেন, হামলার ঘটনার মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পোস্ট ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যেখানে কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ইঙ্গিত করে আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার এত অল্প সময়ের মধ্যে যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দোষী নির্ধারণ করে ফেলা হয়, তাহলে তদন্তের প্রয়োজন কোথায়? এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত অপচেষ্টারই বহিঃপ্রকাশ।
রিজভী আরও বলেন, শান্তিনগর, শাজাহানপুর ও খিলগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় বহু প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা বসবাস করেন। অথচ তারা কেউ কখনো এ ধরনের হামলার শিকার হননি। তাহলে কেন হঠাৎ করে শরিফ ওসমান হাদিকে টার্গেট করা হলো—এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে।
তিনি বলেন, ওসমান হাদি কখনোই মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেননি বা রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেননি। দেশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাই কি তার অপরাধ? ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াই কি তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর কারণ?
রিজভী বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এটি বিএনপির বক্তব্য নয়, বরং রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য।
তিনি আরও বলেন, জনগণ ও প্রশাসন বুঝে গেছে কারা এই ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল জনতাতন্ত্র দিয়ে কখনো সুশাসন, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালামসহ দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।
