বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট ও দলের নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণফোরামের নেতারা অংশ নেন। আলোচনায় দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক, আসন সমঝোতা এবং নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের নিরাপত্তা ইস্যু গুরুত্ব পায়।
বৈঠক শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা রাশেদ খান জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অতীতে ২৫টি আসনে ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিএনপি মূল্যায়ন করবে বলেও তারা প্রত্যাশা করেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সহিংসতার আশঙ্কা তুলে ধরে রাশেদ খান বলেন, প্রায় ৫০ জন প্রার্থী টার্গেট কিলিংয়ের ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। নির্বাচনী প্রচারে যুক্ত সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা জরুরি, যাতে পারস্পরিক অবিশ্বাস তৈরি না হয়। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনী বিধিমালা (আরপিও) কোনো নির্দিষ্ট দলকে বিশেষ সুবিধা দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না—সে বিষয়ে উচ্চ আদালতে সুরাহার প্রত্যাশা করেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং যুগপৎ আন্দোলনের বিভিন্ন জোট ও দলের প্রতিনিধিরা।
