প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেন, কিছু হুজুর আগে ওয়াজে বলতেন— “যত দিন ড. ইউনূস বেঁচে থাকবেন, দেশে যেন আর কোনো নির্বাচন না হয়।” অথচ এখন তিনি যখন নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ, সমালোচনা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য হলো ড. ইউনূসকে দায়িত্ব থেকে সরানো। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি যখন স্পষ্ট করেছেন— “নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই”— তখন নির্বাচনবিরোধী শক্তিগুলো ক্ষুব্ধ হয়েছে। এনসিপির ভেতর থেকেও তাকে নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে এবং কেউ কেউ বলছে, সরকার নাকি এনজিওর মতো চলছে।
জাহেদ উর রহমানের মতে, সরকারের ভেতরে আরেকটি ‘পাওয়ার সেন্টার’ সক্রিয়, যারা চিত্র তুলে ধরছে যে ড. ইউনূসের হাতে প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের মতো ক্ষমতা নেই। সেনাপ্রধান, প্রধান বিচারপতি কিংবা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকগুলোকে ব্যবহার করে জরুরি অবস্থার ইঙ্গিতও দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ড. ইউনূস দায়িত্বে থাকলে নির্বাচন বানচাল করা সহজ হবে না, তাই তাকে সরাতে নানা প্রচেষ্টা চলছে। কেউ কেউ চাইছে, তিনি নিজেই পদত্যাগ করুন। তবে এখনই তাকে সরানো হলে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার মুখে পড়বে।
তার মতে, ড. ইউনূসের সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু তাকে সরালে নির্বাচন হুমকিতে পড়বে। সে সুযোগে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা দেশকে অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
জাহেদ উর রহমান বলেন, “এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খুশি হবে আওয়ামী লীগ ও ভারত। তাই ড. ইউনূসকে রেখেই পরিস্থিতি সামলাতে হবে।
