ইরান সোমবার ভোরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া পাল্টা হামলার মধ্যে সবচেয়ে ভারী আঘাত বলে গণ্য হয়েছে। ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস (IRGC) এবার আরও হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে।
সোমবার ভোরের এই হামলায় IRGC-এর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিব, হাইফা এবং দখলকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ও উত্তর শহরগুলিতে, যেমন বনি ব্রাক, আঘাত হানে। এই আক্রমণগুলি ১৩ জুন থেকে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকসহ বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক হামলায় ইরান অত্যন্ত বিধ্বংসী শক্তি এবং উচ্চ গতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে আঘাত হেনেছে।
'ফাতাহ' হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার
IRGC এবার তাদের 'ফাতাহ' হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যা উচ্চ গতিসম্পন্ন এবং ইসরায়েলের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে সহজেই পরাভূত করতে সক্ষম।
ফাতাহ ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য:
-
গতি: ম্যাক ১৩ থেকে ম্যাক ১৫
-
মুভমেন্ট ক্ষমতা: বায়ুমণ্ডলের উপরে ও নিচে চলাচল করতে পারে।
-
ইঞ্জিন: গোলাকার ইঞ্জিন, কঠিন জ্বালানিতে চলা।
-
নজেল: চলন্ত নজেল, যা ক্ষেপণাস্ত্রকে সকল দিকে চালিত করতে সক্ষম করে।
সর্বোচ্চ নেতার প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, জয়নিস্ট শাসন একটি বড় ভুল করেছে এবং বেপরোয়া কাজ করেছে।”
তিনি আরও সতর্ক করেন, “এই কাজের পরিণতি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সেই শাসনব্যবস্থার ধ্বংস ডেকে আনবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে, এবং দেশের সব কর্মকর্তা ও জনগণ তাদের পাশে রয়েছেন। আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং গোষ্ঠী একই ধরনের বার্তা দিয়েছে। সবাই মনে করে এই সন্ত্রাসী সিয়োনিস্ট পরিচয়ের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।
