ইসরায়েলি সামরিক অভিযান গাজা উপত্যকায় তীব্র আকার ধারণ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে জানা গেছে, ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমালোচনার ঝড় বইছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে মানবিক মিশনে যাওয়া বিদেশি কূটনীতিকদের দিকে "সতর্কতামূলক" গুলি চালায়।
মানবিক সংকট তীব্রতর হচ্ছে
জাতিসংঘের প্রধান মুখপাত্র গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে গাজার জন্য যে সীমিত মানবিক সাহায্য "অবশেষে" প্রবেশ করতে পারছে, তা যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই অঞ্চলটির ক্ষুধার্ত জনগণের চাহিদা পূরণে একেবারেই অপর্যাপ্ত।
ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩,৬৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২১,৯৫০ জন আহত হয়েছেন। সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজারো মানুষকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিশোধ এবং আঞ্চলিক প্রভাব
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস পরিচালিত আক্রমণে ইসরায়েলে আনুমানিক ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি হয়। সেই আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক প্রতিশোধ অভূতপূর্ব মাত্রায় পৌঁছেছে, যা গাজার জীবনের ক্ষতি ও সম্পদের ধ্বংস ডেকে এনেছে।
আন্তর্জাতিক নেতারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন এবং মানবিক সাহায্যের বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।