ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান আর্মি ঘোষণা করেছে যে, আরাশ ক্লাসের আত্মঘাতী ড্রোনগুলো দখলকৃত অঞ্চলের আকাশসীমায় প্রবেশ করে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলি সূত্রও জানায়, দুইটি ইরানি ড্রোন ডেড সাগরের আকাশসীমায় ঢুকে এলাকা জুড়ে সায়রেন বাজিয়েছে এবং পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি বসতি এলাকায় সতর্কতা সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ টেলিভিশন জানিয়েছে, সেই সময় ইসরায়েলি সামরিক ব্যবস্থা ড্রোনগুলোকে অনুসরণ করছিলো।
এর আগে, ইরানের মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পঞ্চম তরঙ্গ শুরু হয়েছে বলে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তিবেরিয়াস, দখলকৃত গোলান এবং লোয়ার গালিলিয়াতে লক্ষ্যমাত্রা ভেদ করেছে।
এই প্রতিশোধ মূলত ইসরায়েলের একাধিক হামলার পর নেওয়া হয়েছে, যেখানে শুক্রবার রাতে ইরান ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি এলাকায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) জানায়, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামের এই অভিযানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের ‘কৌশলগত’ লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানেছে।
ইসরায়েলের এই হামলার পর ইরানি সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের হত্যা ও সিভিলিয়ানের মৃত্যু ঘটেছে, যার ফলে ইরান ব্যাপক প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল তেল আবিবসহ ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক অবকাঠামো ও আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে।
