ইরানের ওপর ইসরায়েলের ভয়াবহ সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (১৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, "এ হামলা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরানের সার্বভৌমত্বের চরম লঙ্ঘন। এই কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির জন্য হুমকি তৈরি করেছে এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়তে পারে।"
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, "বাংলাদেশ সকল পক্ষকে সংযত থাকার এবং উত্তেজনা বাড়ায় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।"
বাংলাদেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাতে ইরানে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী "অপারেশন রাইজিং লায়ন" নামের একটি অভিযান চালায়। এতে তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক এলাকাগুলো পাঁচ দফা হামলার শিকার হয়।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি, এবং বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ নিহত হন।
এছাড়া হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন, তাদের মধ্যে ফেরেয়দুন আব্বাসি, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি, আব্দুলহামিদ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জোলফাঘারি এবং আমিরহোসেইন ফেকহি রয়েছেন। ষষ্ঠ বিজ্ঞানীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এই হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, "ইহুদিবাদীরা আমাদের প্রিয় দেশের মাটিতে তাদের রক্তাক্ত হাত ছড়িয়েছে এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়ে তাদের বর্বরতা প্রকাশ করেছে। এর জন্য তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "এই হামলা তাদের জন্য একটি তিক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে। এই বর্বরতার শাস্তি ভোগ করতে তাদের বাধ্য করা হবে।