২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকেই নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তবে শুরুতে তাকে এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও, সেটি বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আরও দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৪ সালে টেস্ট দলের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তার নেতৃত্বে দল প্রতিযোগিতামূলক পারফরম্যান্স করেছে। সহ-অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ তার সঙ্গেই থাকবেন।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শুরুর আগে বিসিবি এই ঘোষণা দেয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে নতুন চক্র শুরু করতে চলেছে বাংলাদেশ। সফর চলতি মাসে শুরু হবে, যেখানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দুই দল। সেই সিরিজে ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে শান্তই থাকছেন অধিনায়ক।
ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা
নাজমুল হোসেন শান্ত ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকবেন কি না, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তার অধীনে বাংলাদেশের ওয়ানডে পারফরম্যান্স আশানুরূপ হয়নি। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোনো জয় ছাড়াই বিদায় নেওয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া তার অধিনায়কত্বের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। সিরিজের জন্য দল ঘোষণা এখনও বাকি। টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে, যেখানে শান্তর অধিনায়কত্বের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন নেতৃত্ব
এর আগে শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বিসিবি তার ইচ্ছা মেনে নেয় এবং লিটন দাসকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অধিনায়ক করা হয়। তবে লিটনের অধিনায়কত্বের শুরুটা ভালো হয়নি। আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে দল।
অধিনায়কত্বে পরিবর্তনের এই ধারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পারফরম্যান্সে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা দেখার বিষয়।