এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষদিকে প্রতিপক্ষ এগিয়ে যায়। ওই সময় গোলরক্ষক মিতুল মারমা দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আরও একটি গোল হজম করার পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের জালে একবার বল পাঠায়। ম্যাচ শেষে মিতুল মারমা অনুতপ্ত কণ্ঠে সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
৪৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের একটি লং থ্রো আসে বাম দিক থেকে। গোলরক্ষক মিতুল পোস্ট ছেড়ে বলের দিকে ঝাঁপিয়েও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট, যিনি পরে বল বাড়িয়ে দেন সং উই
ইয়ানকে। তার শট বাংলাদেশের জালে প্রবেশ করে। ওই সময় হামজা চৌধুরী গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও, বল তার পায়ে লেগে জালে ঢুকে পড়ে।
ম্যাচে নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ মিতুল জানান, ব্যক্তিগত শোক তার মানসিক অবস্থায় প্রভাব ফেলেছে। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "জীবনের অন্যতম কষ্টের মুহূর্ত আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি আমি আমার বড় ভাইকে হারিয়েছি, যা ছিল আমার জীবনের প্রথম বড় শোক।"
এরপর মিতুল যোগ করেন, "এই দুঃখের মাঝেও আমি মাঠে মনোযোগ ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। দলের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সফল হতে পারিনি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।"
বাংলাদেশি গোলরক্ষক আরও বলেন, "আমি জানি এটা আমার জন্য কঠিন সময়, তবে আমি আরও দৃঢ়ভাবে ফিরে আসব ইনশাআল্লাহ। আবারও অনুরোধ করছি, আমার ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।"
প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালের এএফসি বাছাইপর্বে প্রতিটি দলের এখনও চারটি করে ম্যাচ বাকি আছে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। আপাতত গ্রুপের শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। তারা যদি বাকি ম্যাচগুলো জেতে, তবে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে থেকে সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে, যা ভারতের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্টের সমান।