২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন দমনকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজ রোববার (৩ আগস্ট) থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচার শুরুর সময় রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মামলায় জড়িত প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চায় তারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “জুলাই আন্দোলনের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত ছিল, তারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।”
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে শক্তিশালী তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সন্দেহের কোনো সুযোগ নেই।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে।
রোববার সকালে মামলার গুরুত্বপূর্ণ রাজসাক্ষী হিসেবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আদালতে হাজির হন। পরে আদালত তাঁকে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্যদানে সম্মতি দেয়।
মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৫-৩০ জনকে সরাসরি ট্রাইব্যুনালে হাজির করে জেরা করা হবে। বিচার কার্যক্রম বিটিভি ও অন্যান্য মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগগুলো হলো:
-
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ,
-
আন্দোলন দমনে বাহিনীকে উসকানি,
-
আবু সাঈদ নামে আন্দোলনকারীর হত্যার নির্দেশ,
-
চাঁনখারপুলে ছয়জন বিক্ষোভকারীর হত্যাকাণ্ড,
-
আশুলিয়ায় আন্দোলনকারীদের মরদেহ পোড়ানোর পরিকল্পনা।
আজকের খবর/ এম. এস. এইচ.