ঈদুল আজহার আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে। প্রায় এক সপ্তাহ পর ঈদ আসতে চলেছে, তাই ঢাকার একমাত্র স্থায়ী পশু হাট গাবতলীতে পশু রাখার স্থানসহ সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকযোগে পশু গাবতলী হাটে আনা হচ্ছে।
অন্য বছর ঈদের প্রায় পনেরো দিন আগেই হাটের প্রস্তুতি শেষ হলেও এবার ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দরপত্র প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও অনুকূল নয় এমন আবহাওয়ার কারণে হাট প্রস্তুতিতে দেরি হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) গাবতলী হাট পরিদর্শন করলে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে হাটের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। হাটের প্রবেশ পথে সারি সারি গরু রাখা হয়েছে, যাদের দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত উঠছে।
ঢাকায় সাধারণত ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগেই গরুর বাণিজ্য শুরু হয়, কারণ জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে যারা আগেভাগেই কোরবানির পশু কেনার ইচ্ছা রাখেন, তারা নিজ বাড়িতে গরু দেখছেন।
রাজধানীতে এখনও গরুর পরিমাণ কম। যেখানে যেখানে পশু পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে টিকটকার এবং ইউটিউবারদের উপস্থিতি চোখে পড়ছে। ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন।
গাবতলী হাটে আলী আকবর নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। তার বাজেট দুই লাখ টাকা। তিনি মাঝারি মানের গরু কোরবানি দিতে আগ্রহী।
আলী আকবর বলেন, একটু দেখতে এসেছি। এবার আল্লাহর নামে দুই লাখ টাকার গরু কোরবানি করার ইচ্ছা আছে ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কয়েকজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, হাটের ইজারা চুক্তি সম্পন্ন হলেই তারা চলে যাবেন। এখনো আনুষ্ঠানিক ডাক আসেনি। তারা জানান, প্রতি হাজারে ৩৫ টাকা খাস আদায় করা হচ্ছে।