কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রশিদনগর ইউনিয়নের একটি রেলক্রসিং এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রথমে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন—অটোরিকশাচালক হাবিব উল্লাহ (৫০), যাত্রী রেনু আরা (৪৫), তার বোন আসমা আরা (১৩) এবং রেনু আরার দুই ছেলে আশেক উল্লাহ (৩) ও আতা উল্লাহ (১ বছর ৬ মাস)।
রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান জানান, অটোরিকশাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী থেকে রামুর দিকে যাচ্ছিল। রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে গাড়িটি আটকে যায় এবং কিছুদূর টেনে নিয়ে যায়। এতে অটোরিকশার সব যাত্রী প্রাণ হারান।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন কক্সবাজারমুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
দুর্ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় দপ্তর। কমিটিতে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনাস্থলে কোনও গেটম্যান নেই। পারাপারের জন্য সতর্কতামূলক নির্দেশনাসহ চিহ্ন রয়েছে। তারপরও প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতের জন্য সুপারিশ সংগ্রহ করতে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।