গাড়ির লাইম্যানের সাথে রয়েছে বেশ মধুর সম্পক। লাইম্যান দেখা না করলে তিনি রেগে যান, অভিমানে গাড়ি ধরে নিয়ে আসেন স্ট্যান্ড থেকে। তারপর লাইম্যান তিন থেকে পাঁচশ টাকায় রাগ ভাঙ্গিয়ে গাড়ি নিয়ে যান।
শুধু তাই নয়, সিএমপিতে রয়েছে লিখিত বিস্তর অভিযোগ। গেল বছর সাগরিকা মোড়ে অটোরিকশা ধরে চাদা নেওয়ার অপরাধে অটোরিকশা চালকদের হাতে লাঞ্চিতও হয়েছিলেন তিনি। পুলিশের ডিউটির নামে গাড়ি ধরে সেই গাড়িকেই টো করেন তিনি। চালকদের মারধরের পাশাপাশি অকথ্য গালিগালাজও করেন।
এমনই এক ক্ষমতাধর ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর (টি এস আই) রয়েছেন সিএমপিতে। নাম তার মো. জাহেদ। সবাই তাকে চেনেন পাগলা জাহেদ নামে। তিনি টানা ১০ বছর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগে কর্মরত। তার বিপি নাম্বার: ৭০৮৮০০৭৮৩৮।
অনুসন্ধান বলছে, ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগে কাটাচ্ছেন ৮ বছরের বেশি সময়। চলতি বছরের একবার বদলি হয়ে কিছুদিনের জন্য দক্ষিন বিভাগে অতিথি হলেও দুই মাসের মাথায় আবার ফিরে আসেন পশ্চিম বিভাগে। দীর্ঘ একাংশের দায়িত্বে থাকার সুযোগে তিনি গড়ে তুলেছেন চাদাবাজীর রাজত্ব।
গাড়ির লাইম্যানদের সাথে তার নিভিড় সখ্যতা রয়েছে। প্রতিদিন লাইম্যান হাজিরা না দিলে তিনি রাগ করেন এবং গাড়ি ধরে স্ট্যান্ডে নিয়ে আসেন। লাইম্যান পরে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড় করে নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেগুনা গাড়ির মালিক বলেন, “টি এস আই জাহেদের কাজই হলো চালকদের কাটিং দেওয়া। গাড়ি ধরে নিয়ে এসে এক থেকে দুই হাজার টাকা দাবী করেন। না দিলে টো করে তার সঙ্গে চার-পাঁচটি মিথ্যা মামলা দিয়ে দেন।”
মো. তাজুল, পেশায় মেক্সিমা চালক, জানান, ২৯ তারিখে হঠাৎ এক মোড়ে গাড়ি সিগনাল দেন জাহেদ। ডিউটির জন্য সম্মতি দিলে তাকে নিয়ে অটোরিকশার উপর অভিযান চালানো হয়। অবাক করার বিষয়, যে গাড়ি দিয়ে ডিউটি করানো হয় সেই গাড়িই তিনি আটক ও ডাম্পিং করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক জানান, টি এস আই জাহেদ রাস্তায় একাধিক চালকের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন।
ট্রাফিক আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কোনো ধরনের অসৌজন্যমূলক বা অপেশাদার আচরণ করা যাবে না।
এমন অভিযোগের বিষয়ে মো. জাহেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সিএমপির পাবলিক রিলেশন অফিসার (পি আর ও) মাহমুদা খানম বলেন, “এই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।”
পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নিষ্কৃতি চাকমা বলেন, “আমার জানা নেই, তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
