বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বায়োটেক, ইলেকট্রনিক্স, এআই এবং রোবটিকস (BEAR) সম্মেলন ও জাতীয় সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ আয়োজন করে গভীর প্রযুক্তির (deep-tech) একটি কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠার পথে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এই দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমাদ তাইয়েব উদ্বোধনী বক্তৃতায় জানান, “আমরা ন্যাশনাল এআই পলিসি তৈরি করছি, বাংলা ভাষাভিত্তিক প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন AI মডেল তৈরি হচ্ছে, এবং সেমিকন্ডাক্টর খাতে উদ্ভাবকদের সহায়তা করছি।”
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান জানান, উচ্চশিক্ষা খাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প HEAT এবং ICSETEP-এর মাধ্যমে আইটি ও সিএসই শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সম্মেলনে কানস্টেলেশন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান তানভীর আলী বলেন, “আজকের সহজলভ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরুণ উদ্যোক্তারা অল্প মূলধনেই ডিজিটাল কনটেন্ট, মার্কেটিং এবং AI খাতে স্টার্টআপ গড়ে তুলতে পারছে – যা যুব উদ্ভাবনে বড় পরিবর্তন আনছে।”
সিম্পোজিয়ামে Ulkasemi, Neural Semiconductor, THINK Global-এর মতো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবন তুলে ধরা হয়। প্রায় ২,৫০০ জন অংশগ্রহণ করেন, যাদের ৬০% শিক্ষার্থী এবং ৪০% পেশাদার। অংশগ্রহণকারীদের ৩০% বিদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
সরকারি সেমিকন্ডাক্টর টাস্কফোর্স ইতিমধ্যে একটি রোডম্যাপ পেশ করেছে, যেখানে তিনটি মূল খাত – চিপ ডিজাইন, ম্যানুফ্যাকচারিং ও টেস্টিং/প্যাকেজিং – এর উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ চিপ ডিজাইন ও প্যাকেজিং খাতে প্রবেশের সম্ভাবনা রাখলেও পূর্ণমাত্রার উৎপাদনের জন্য বড় পরিমাণে বিনিয়োগ ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথাও রোডম্যাপে বলা হয়েছে।
আজকের খবর/ এম. এস. এইচ.