২০২৫ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে পৃথিবী খুব সামান্য সময়ের জন্য হলেও স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট দিন অনুভব করবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের বর্তমান কক্ষপথের অবস্থান পৃথিবীর ঘূর্ণনকে সামান্য ত্বরান্বিত করছে, যার ফলে প্রতিটি দিন প্রায় ১.৩ থেকে ১.৫ মিলিসেকেন্ড ছোট হয়ে যাচ্ছে।
এই পরিবর্তন মানবদেহে অনুভূত না হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে—যেমন পারমাণবিক ঘড়ি, জিপিএস সিস্টেম ও স্যাটেলাইট যোগাযোগ।
২০২৫ সালের জুলাই ৯, ২২ এবং আগস্ট ৫ তারিখে পৃথিবী সবচেয়ে ছোট দিনের অভিজ্ঞতা পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বৈজ্ঞানিক মহল।
বিশ্ব সময় সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন হলে "নেগেটিভ লিপ সেকেন্ড" যোগ করার মতো পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, একটি সাধারণ দিন নির্ধারিত হয় পৃথিবীর একবার নিজ অক্ষে ঘূর্ণনের সময়ের ভিত্তিতে—যা প্রায় ৮৬,৪০০ সেকেন্ড বা ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু এই ঘূর্ণন নানা প্রাকৃতিক কারণে সবসময় একরকম থাকে না, এবং চলতি পরিবর্তনের জন্য দায়ী চাঁদের নতুন অবস্থান।
আজকের খবর/ এম. এস. এইচ.