সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্ক পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ সময় ৪০৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭১ কোটি ডলার বা প্রায় ২১.১ শতাংশ বেশি। অতীতে কখনও এত বড় অঙ্কের ঋণ এক অর্থবছরে শোধ করতে হয়নি।
সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত তথ্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ইআরডির হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ঋণের সুদ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৪৯ কোটি ডলার এবং মূলধন ফেরত দিতে হয়েছে ২৫৯ কোটি ডলার। তবে একইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে ঋণ ছাড়—২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ১,০২৮ কোটি ডলার ঋণ ছাড় হয়েছিল, ২০২৪-২৫ সালে তা নেমে এসেছে ৮৫৬ কোটি ডলারে, যা ১৭১ কোটি ডলার কম।
পাশাপাশি, কমেছে ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণও। গত বছর যেখানে ১ হাজার ৭৩ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি ছিল, এবার তা প্রায় ২২.৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩২ কোটি ডলারে। মূলত, বড় প্রকল্পগুলোর ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় এ প্রভাব পড়ছে অর্থ ব্যবস্থাপনায়।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি ঋণের দায় বাড়তে থাকায় তা ভবিষ্যৎ অর্থনীতির জন্য নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাঠামোগত সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।