বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে অক্ষম ২০টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চিঠি দিয়েছে এবং ১৫ দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চিহ্নিত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মোট আমানতের বিপরীতে ৮৩ শতাংশ ঋণ খেলাপি। জামানত অপ্রতুল হওয়ায় গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেওয়ার অবস্থা নেই। এর ফলে ২০টি প্রতিষ্ঠানের ক্রম পুঞ্জিত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা।
এনবিএফআই খাতের ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে। উচ্চ খেলাপি ঋণ, বেতন-ভাতা, ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ২০৬ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন বা একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের মতে, এই উদ্যোগ আইনানুযায়ী গ্রাহক ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় জরুরি।
সিভিসি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, ফার্স্ট ফাইন্যান্সসহ মোট ২০টি প্রতিষ্ঠান।
এনবিএফআই খাতের সংকটের মূল কারণ হিসেবে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের আর্থিক অনিয়ম দায়ী। তার অনিয়ম এবং এস আলমের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভূমিকার কারণেই খাতটি গভীর সংকটে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগ সংকটে থাকা এনবিএফআই খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এটি সফল করতে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।