ঢাকা: আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সরকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে। সোমবার (২ জুন) বাজেট উপস্থাপনের পরও নিত্যপণ্যের বাজারে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
বাজারে মাছ-মাংস, শাকসবজি ও মুদিপণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, বাজেট ঘোষণার প্রভাব বাজারে প্রতিফলিত হতে আরও এক-দুই দিন সময় লাগতে পারে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর সূত্রাপুর, শ্যামবাজার, রায়সাহেব বাজার এবং নয়াবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালীন সবজির কেজি প্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেগুন, করলা, পটলসহ বেশকিছু পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি। শীতকালীন সবজির মধ্যে লাউ, টমেটো, গাজরের মতো পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দামেও প্রভাব ফেলেছে।
মুদিপণ্যের বাজারেও তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম পূর্বের মতোই রয়েছে।
মুরগি ও মাংসের বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকলেও কিছু মাছের ক্ষেত্রে দামে হালকা ওঠানামা দেখা গেছে। শিং, রুই, মাগুর ও পাঙাসের মতো মাছের দাম একই রয়েছে, তবে দেশি মাগুর ও বড় কাতলের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, রমজান মাস থেকেই বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই অনেক পণ্যের দাম স্থির থাকায় বাজারে কোনো তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েনি।
সূত্রাপুরের ব্যবসায়ী বলরাম সাহা বলেন, "বাজার পরিস্থিতি আগের মতোই আছে। বাজেটের প্রভাব বাজারে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।"
নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, "কোরবানির ঈদ সামনে, এ সময় কিছু পণ্যের দাম এমনিতেই বাড়ে। তবে সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে।"
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎসে কর কমানো হয়েছে, যা বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, আসন্ন দিনগুলোতে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং ক্রেতাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি আসবে।