কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুর ইউনিয়নে অপহরণের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর এক ব্যবসায়ীকে হাত, চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নিজ বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম জাহাবক্স। তিনি পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ‘প্রান্ত স্টোর’ নামের একটি দোকানের মালিক।
পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১টার দিকে দোকান থেকে অপহৃত হন জাহাবক্স। অপহরণের পর তাঁর দোকানের সামনে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যেখানে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁকে গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে, জাহাবক্সের ছেলে প্রান্ত বলেন, “গতরাত ১২টার দিকে হঠাৎ শব্দ পাই। বাইরে বের হয়ে দেখি, বাবা অচেতন অবস্থায় বারান্দায় পড়ে আছেন। তাঁর মুখ ও চোখ বাঁধা ছিল। পরে জানতে পারি, দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে তাঁকে রেখে চলে যায়।”
প্রান্ত আরও জানান, অপহরণের দিন রাতেই একজন ব্যক্তি স্যালাইন দেওয়ার কথা বলে জাহাবক্সকে বাড়ির বাইরে ডেকে নেয়। প্রথমে তাঁকে পরিচিত মনে হলেও পরে দেখা যায়, তিনি অপরিচিত। দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে আরও একজন এসে মুখ, চোখ ও হাত বেঁধে জাহাবক্সকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ টাকাও লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার পর আব্দালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী হায়দারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, “ভুক্তভোগী এখনও পুরোপুরি সুস্থ নন। সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আটক আলী হায়দারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।