ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও মৃত্যুঝুঁকি কাটেনি। চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁর মাথার ভেতরে রক্তনালির মাঝখানে গুলির একটি অংশ আটকে রয়েছে, যা সরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান বোর্ডের সদস্য ডা. আব্দুল আহাদ। তিনি বলেন, হাদির মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে আছে এবং গুলির ছোট একটি অংশ এখনো ব্রেইনের ভেতর রয়ে গেছে, যা একাধিক রক্তনালির মাঝে আটকে রয়েছে।
চিকিৎসক জানান, হাদির হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বর্তমানে স্থিতিশীল থাকলেও সামগ্রিক শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। সর্বশেষ সিটি স্ক্যান রিপোর্টেও নতুন কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। তবে কিডনি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে।
মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কাছে হাদির শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। পরিবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রোগীকে স্থানান্তরের মতো শারীরিক স্থিতিশীলতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে।
এর আগে ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকা ৭২ ঘণ্টার গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত করা হয়েছে এবং এর মালিককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
