দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি হাসপাতালে রোগীর ভিড়ও বেড়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক ডেঙ্গু প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ডেঙ্গুতে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে—যা এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বাধিক। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী।
২০২৪ সালের ডেঙ্গু পরিসংখ্যান অনুযায়ী:
জানুয়ারিতে: ১০ জনের মৃত্যু, ভর্তি ১,১৬১ জন
ফেব্রুয়ারিতে: ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৩৭৪ জন
মার্চে: মৃত্যু ০, ভর্তি ৩৩৬ জন
এপ্রিলে: ৭ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৭০১ জন
মেতে: ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ১,৭৭৩ জন
জুনে: ১৯ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৫,৯৫১ জন
জুলাইয়ে: সর্বোচ্চ ৪১ জনের মৃত্যু এবং ভর্তি ১০,৬৮৪ জন
সারা বছরে এ পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৯৮০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৯ হাজার ৬৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ জনে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগে সীমাবদ্ধ নেই। অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘‘ডেঙ্গু এখন প্রায় সারা বছরই দেখা যাচ্ছে। বর্ষা এলে এর প্রকোপ বাড়ে। তাই সময়মতো মশা দমন কার্যক্রম চালানো ও ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালানো অত্যন্ত জরুরি।
কীটতত্ত্ববিদ ডা. মনজুর চৌধুরী মনে করেন, শুধু জরিমানা ও জনসচেতনতা যথেষ্ট নয়। সঠিকভাবে জরিপ পরিচালনা করে প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে কার্যকরভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছিল। সে বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং প্রাণ হারান ১ হাজার ৭০৫ জন।