চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’-এর মূল অনুষ্ঠানে জুলাইযোদ্ধাদের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় অনুষ্ঠান। প্রায় আধঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে আবারও অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত কমিটির সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদকে মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য ডাকা হলে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। বক্তব্য শুরু করার মুহূর্তে জুলাইযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর নেতৃত্বাধীন একটি পক্ষ প্রতিবাদ জানায় এবং “ভুয়া, ভুয়া” স্লোগানে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
তাদের দাবি ছিল, সাব্বির আহমেদ প্রকৃত জুলাইযোদ্ধা নন এবং তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বক্তব্য বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। এতে মঞ্চে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং অনুষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে সময় সংকটের কারণে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ করা হয়।
সাব্বির আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, জুলাইযোদ্ধা ও আহতদের তালিকা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, অথচ আমি এ তালিকা তৈরির সঙ্গে জড়িত নই।
অন্যদিকে, ইসমাইল হোসেন সিরাজী দাবি করেন, সাব্বির বক্তব্য শুরু করলে তার সমর্থকরা আমাকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া’ স্লোগান দেয়। এরপর উত্তেজনা ছড়ায়। তালিকা তৈরিতে সাব্বিরের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, “জুলাইযোদ্ধাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তা পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে।”
তবে অনুষ্ঠান মঞ্চের এ ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।