শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার জানিয়েছেন, এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য নম্বরই অর্জন করেছে। এখানে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে বাস্তবভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে।
শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকা কলেজের শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শিক্ষা ক্যাডারের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত বা বিশেষ উপহার কাউকে দেওয়া হয়নি। ফল প্রকাশে ছিল না কোনো বাড়তি আনুষ্ঠানিকতা। বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। আমাদের এখন ভাবতে হবে, এ ফলাফল থেকে কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।
ড. আবরার মনে করেন, অতীতে শিক্ষাক্ষেত্রে মুক্তচিন্তার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। তরুণরা যে চেতনায় ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে, সেই চেতনা ধারণ করে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে তরুণদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে গিয়ে দেশ গঠনে নিজেদের প্রস্তুত করার। বর্তমানের অস্থিরতা দূর করতে হলে আমাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে পথ চলতে হবে।
তিনি আরও জানান, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) মো. মজিবর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও পানি–পরিবেশ বিজ্ঞানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান।