রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় আরও তিন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি গ্রেপ্তার দুই সন্দেহভাজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার তিনটি পৃথক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন—তারেক রহমান রবিন, নান্নু কাজী ও রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু।
এদিনই রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় এই তিনজনকে। তখন তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মতি জানালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান আদালতের অনুমতি চান। পরে বিচারকরা যথাক্রমে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া সকালে কেরানীগঞ্জ থেকে সন্দেহভাজন আসামি মো. পারভেজ ও মো. জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
এ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জন ইতিমধ্যে আদালতে দায় স্বীকার করেছেন। তারা হলেন—মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, সজীব ব্যাপারী এবং রাজিব ব্যাপারী। রাজিব বর্তমানে কারাগারে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ৯ জুলাই রাতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ৩৯ বছর বয়সী ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে এবং পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। তিনি কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে এবং পুরান ঢাকার রানী ঘোষ
লেনে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের বড় বোন কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা করা হয়।