লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ায় ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নয়ারহাট এলাকায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই প্রতিনিধি নির্বাচন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, ৮ আগস্ট ছিল মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিন। ওইদিন সভাপতি পদপ্রার্থীসহ অন্তত তিনজনকে ফরম দেওয়া হয়নি। তাঁদের মধ্যে রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম সরকারও ছিলেন। প্রবাসে থাকায় তাঁর কাছে ফরম সরবরাহ করা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুলের অনুসারীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ব্যাপারীর ওপর চড়াও হন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ সময় চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটে।
ঘটনার পর নজরুল ইসলাম সরকার ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। গত মঙ্গলবার জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় এবং কেন তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তা জানাতে পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এরপর থেকেই দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি মিছিলে নামেন। গত শুক্রবার রাতেও নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে একপক্ষের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। শেষ পর্যন্ত আজ দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ব্যাপারী জানান, কেরোয়া ইউনিয়নে ভোট গ্রহণের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। তাই ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, বাকিদের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী হওয়ার অজুহাতে আমাকে মনোনয়ন ফরম দেওয়া হয়নি। অথচ দলের কঠিন সময়ে আমি সবসময় পাশে থেকেছি। বিদেশে থেকেও কর্মীদের সহযোগিতা করেছি। বর্তমানে দেশে থাকলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেড এম নাজমুল ইসলাম বলেন, “কেরোয়া ইউনিয়ন প্রতিনিধি নির্বাচনে কিছু ভুল-বোঝাবুঝি ও উত্তেজনার কারণে ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা চাই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের স্বার্থে কাজ করুক। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল, এখানে প্রতিটি কর্মীর অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।