বিশ্ববাজারে মূল্যবান ধাতুর বাজারে ফিরেছে দোলাচল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ নীতিগত দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় বিনিয়োগকারীরা পুঁজি আচরণে সতর্ক হয়ে উঠেছেন। এর প্রভাবেই সোনার দামে দেখা দিয়েছে সামান্য পতন। তবে বিপরীতে শিল্পখাতে চাহিদা বেড়ে রূপার দাম ছুঁয়েছে নতুন ইতিহাস।
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্পট গোল্ডের দাম ০.৪ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি দাঁড়ায় ৪,১৯৩.৬০ ডলার। একই সময়ে ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির মার্কিন গোল্ড ফিউচারও ০.৩ শতাংশ কমে নেমে আসে ৪,২২১.৬০ ডলারে।
অন্যদিকে সিলভার বাজারে উল্টো দৃশ্য—স্পট সিলভার ০.৭ শতাংশ বেড়ে পৌঁছায় ৬১.১১ ডলারে। দিনের শুরুতে দাম ছুঁয়েছিল ৬১.৬১ ডলার, যা এখন পর্যন্ত রূপার সর্বোচ্চ রেকর্ড। চলতি বছর ধাতুটির মূল্যবৃদ্ধি ১১২ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে, যা বিনিয়োগ মহলে নতুন আগ্রহ তৈরি করেছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটস তাদের দীর্ঘমেয়াদি সোনার দামের পূর্বাভাস আরও বাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
► ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি,
► নরম আর্থিক নীতি,
► এবং ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতির কারণে
আগামী বছরগুলোতে সোনার দাম আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী—
-
২০২৬ সালে সোনার গড় দাম হতে পারে আউন্সপ্রতি ৪,৬০০ ডলার
-
২০২৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে আউন্সপ্রতি ৫,১০০ ডলার
এদিকে প্লাটিনাম বেড়েছে ২.৮% — আউন্সপ্রতি ১,৬৮৮.৩৯ ডলার,
প্যালাডিয়াম বেড়েছে ২.৬% — আউন্সপ্রতি ১,৫০৩.৭৪ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেডের সিদ্ধান্ত ও শিল্পখাতে মূল্যবান ধাতুর বাড়তি চাহিদা মিলিয়ে সামনে বাজারে আরও বড় ধরনের ওঠানামা দেখা দিতে পারে। অনিশ্চয়তার সময়ে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার চাহিদা বাড়লে বাজার আবারও নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
