ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় এক যুবকের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বন্ধুর বাড়ি থেকে মো. রিয়াদ মিয়া (২৫) নামের ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
রিয়াদের বাড়ি উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয় একই ইউনিয়নের গারুয়া গ্রামে বন্ধু নাদিমের বসতঘর থেকে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হানিফ মিয়া নামে এক ব্যক্তির ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটে পোঁড়াবাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় রিয়াদের জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার দুপুরে হানিফের লোকজন তাকে আটক করে। পরে আচারগাঁও বিলপাড়ায় এক সালিশ বৈঠকে রিয়াদ চুরির কথা স্বীকার করেন এবং জানান, এ ঘটনায় বন্ধু নাদিমও যুক্ত ছিলেন। এরপর নাদিমকে ডেকে আনা হলে তিনিও দোষ স্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই সালিশে উপস্থিত হয়ে নাদিমের মা ময়না বেগম ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রিয়াদ ও নাদিমকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। রাতে রিয়াদ নাদিমের বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়িটিতে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে গিয়ে দেখেন, রিয়াদের মরদেহ ঘরে পড়ে আছে।
নিহতের বাবা আবদুল লতিফ জানান, রিয়াদ ও নাদিম দীর্ঘদিন ধরে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ছেলের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির অভিযোগ তিনি জানতেন না।
ঘটনার পর থেকে নাদিম ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন, ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
নান্দাইল মডেল থানার পরিদর্শক মোজাহিদুল ইসলাম জানান, রিয়াদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরে পাঁচ-ছয়টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।