দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য অধিকাংশ মানুষ দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে, কেউ কেউ বর্তমান সরকারকে সংকট মোকাবিলার জন্য আরও কিছুটা সময় দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
গত ৫ আগস্ট রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সহিংস ঘটনার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। পরবর্তী আট মাসে খুন, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আন্দোলনের তীব্রতাও বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতিকে চাপে ফেলেছে।
এই সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেন এবং লন্ডনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। জনগণের বড় একটি অংশ এই প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
ফার্মগেটের ব্যবসায়ী মীর হোসেনের মতে, "রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরলে ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে।" তার মতোই অনেক ব্যবসায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের আশা প্রকাশ করেছেন।
যদিও দ্রুত নির্বাচনের দাবি প্রবল, কিছু নাগরিক মনে করেন—বর্তমান সরকারকে সংকট সামাল দিতে সময় দেওয়া উচিত। তবে সকলেই সন্ত্রাস বন্ধ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশে শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রত্যাবর্তন চান।
জনগণের অভিপ্রায়, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক। এ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ দেখতে চায় সবাই।