সোমবার ভোরে ইরান ইসরায়েলি অধিকৃত এলাকাগুলোর উপর দ্বিতীয় দফা মিসাইল হামলা চালিয়েছে, যা এই সংঘাত শুরুর পর থেকে দশম আঘাত। রাতভর আতঙ্কিত অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ইসরায়েলিদের মাঝে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে দেয় এই আক্রমণ।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কঠোর সেন্সরশিপের পরও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় হাইফার একটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র আগুনে বিধ্বস্ত হয়েছে। এ আঘাতের ফলে পুরো অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া তেল আবিবের একাধিক স্থানে হামলার ফলে অ্যাম্বুলেন্সগুলো ব্যাপক সংখ্যক মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
রাত ১২টার দিকে ইরান প্রথম দফায় হামলা চালায় নেগেভ মরুভূমি, কিরিয়াত গাত, এবং হাইফার অন্যান্য এলাকায়। নেগেভ মরুভূমিতে ইসরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক স্থাপনা এবং গোপন মিসাইল মোতায়েন স্থাপনাগুলি রয়েছে। কিরিয়াত গাত ইসরায়েলের সামরিক প্রযুক্তি খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন কেন্দ্র।
এর আগে ইরান ইসরায়েলের বৃহত্তম তেল শোধনাগার এবং ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাত শুরু হয় শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল কর্তৃক তেহরানের আবাসিক ভবন এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক হামলার মাধ্যমে। পরবর্তী ইসরায়েলি হামলাগুলো মূলত বেসামরিক অবকাঠামোর উপরই কেন্দ্রীভূত ছিল। এই আক্রমণে ইসরায়েল সাতজন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা, নয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং ২২০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছে।
ইরান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইসরায়েল "অসহায়" না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাবে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এই উত্তেজনার কারণ এখনও অস্পষ্ট। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরায়েল জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ইরানি সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে চেয়েছিল। কেউ কেউ মনে করেন, ইসরায়েল বিশ্বাস করেছিল ইরানি সামরিক নেতাদের টার্গেট করে হত্যা ইরানের পাল্টা হামলার ক্ষমতা দুর্বল করবে, যা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।