পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টানা ১০ দিনের ছুটি। এই দীর্ঘ ছুটির আগের দিন বুধবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ট্রেন না ছাড়ার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ ও ভোগান্তি তৈরি হয়।
জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে এবং চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট বিলম্বে স্টেশন ছেড়ে যায়। বিজয় এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। অন্যদিকে মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে।
নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ট্রেন ছাড়ার কারণে যাত্রীরা ট্রেন ছাড়ার আগে থেকেই স্টেশনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। বিশেষ করে পরিবার ও শিশুদের নিয়ে আসা যাত্রীরা দীর্ঘ সময় স্টেশনে থেকে বেশ ভোগান্তির শিকার হন।
বিজয় এক্সপ্রেসের দুই যাত্রী শহিদুল ইসলাম ও তারেক আহমেদ বলেন, "আমরা আশা করেছিলাম, ঈদের সময় ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়বে। কিন্তু স্টেশনে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হলো। সড়কপথে ভোগান্তি থেকে বাঁচতে ট্রেন বেছে নিয়েছি, কিন্তু এখানেও একই অবস্থা।"
চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসে যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বরিশাল এবং চাঁদপুর অঞ্চলের যাত্রীরা এই ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। তবে সময়ানুযায়ী ট্রেন স্টেশনে না আসা ও দেরিতে ছেড়ে যাওয়ার কারণে যাত্রীরা হতাশ হন।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, "বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর থেকে চট্টগ্রামে আসতে দুই ঘণ্টা দেরি করেছে। এর পরে ট্রেন পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতে আরও কিছুটা সময় লাগে। আর মেঘনা এক্সপ্রেস ইঞ্জিন সময়মতো না পাওয়ার কারণে দেরিতে ছেড়েছে। তবে এই দুটি ট্রেন ছাড়া বাকি সব ট্রেন নির্ধারিত সময়েই স্টেশন ছেড়েছে।"
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, সিলেট, জামালপুর ও চাঁদপুর রুটে মোট ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। ঈদের যাত্রীদের চাপ সামলাতে বিশেষ ট্রেনও চালু করা হয়েছে, যা শুক্রবার পর্যন্ত চলবে।