মাইগ্রেনের ব্যথা অসহনীয় হতে পারে এবং কিছু অভ্যাস বা পরিবেশ এই ব্যথাকে আরও প্রকট করতে
পারে। তাই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
এবার দেখে নেওয়া যাক মাইগ্রেন থাকলে কোন কোন বিষয় এড়িয়ে চলা উচিত—
তীব্র আলো:
উজ্জ্বল সূর্যালোক বা কৃত্রিম তীব্র আলো মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। এ ধরনের পরিবেশ থেকে দূরে থাকুন। বাইরে গেলে সানগ্লাস পরা বুদ্ধিমানের কাজ।
উচ্চ শব্দ:
কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ বা জোরে গান শোনার অভ্যাস থাকলে মাথাব্যথা তীব্র হতে পারে। শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকানো:
টিভি, ল্যাপটপ, বা মোবাইল স্ক্রিনে দীর্ঘক্ষণ তাকানো মাইগ্রেনের উদ্রেক করতে পারে। নিয়মিত বিরতি নিয়ে চোখকে বিশ্রাম দিন।
মানসিক চাপ:
উদ্বেগ বা চাপ মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ। মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম, এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
নির্দিষ্ট খাবার:
চকলেট, পনির, চেরি, এবং অ্যালকোহল মাইগ্রেনের তীব্রতা বাড়াতে পারে। এমনকি কিছু ড্রাই ফ্রুট বা বাদামও সমস্যার কারণ হতে পারে। নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
ঘুমের অভাব:
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন নিয়মিত ঘুম নিশ্চিত করুন।
একটানা বসে বা শুয়ে থাকা:
একই অবস্থানে দীর্ঘক্ষণ থাকলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। মাঝে মাঝে উঠে হাঁটাহাঁটি করুন।
ক্যাফেইন:
চা, কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় অতিরিক্ত পান করলে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন।
অনাহার:
অনিয়মিত খাবার গ্রহণ বা না খেয়ে থাকার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। সময়মতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম:
হঠাৎ বা অতিরিক্ত পরিশ্রম মাইগ্রেনের উদ্রেক করতে পারে। হালকা ব্যায়ামে সীমাবদ্ধ থাকুন।
তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তন:
ঠান্ডা বা গরম পরিবেশে হঠাৎ প্রবেশ করলে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। তাপমাত্রার পরিবর্তন ধীরে ধীরে করুন।
অতিরিক্ত ওষুধ সেবন:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেশি ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। ওষুধ খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
মাইগ্রেনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এসব অভ্যাস পরিবর্তনের চেষ্টা করলে জীবনের মান উন্নত হবে।